জটিল পাসওয়ার্ড দিলেই নিরাপদ!
ভেবেচিন্তে ই-মেইলের জন্য জটিল একটা পাসওয়ার্ড দিলেন। আর সন্তুষ্টচিত্তে বসে রইলেন এই ভেবে যে, আপনার ই-মেইলে অনুপ্রবেশ করে (হ্যাক) এমন সাধ্য কার!
ভুল। কম্পিউটার থেকে যখন আপনি ই-মেইল পাঠাচ্ছেন, সেটি সার্ভারে পৌঁছার আগেই ইচ্ছা করলে একজন হ্যাকার পড়ে ফেলতে পারে।
কম্পিউটারের পাশে চুম্বক নেই তো!
কম্পিউটার বা কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের আশপাশে চুম্বক আনলেই আপনি হয়তো ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন। না-জানি কী হয়! ভাবনার কিছু নেই; ল্যাপটপ, হার্ডড্রাইভ চৌম্বকীয় আকর্ষণ থেকে মুক্ত। পেনড্রাইভ, সিডি, মেমরি কার্ডও চৌম্বকীয় আকর্ষণমুক্ত। তবে ফ্লপি ড্রাইভের ক্ষেত্রে কথাটা আংশিক হলেও সত্য। আশার কথা হচ্ছে, ফ্লপিডিস্কের জমানা তো এখন প্রায় অতীত।
বেশি মেগাপিক্সেলে ভালো ছবি!
অনেকের ধারণা, ডিজিটালক্যামেরার সিসিডি সেন্সরের মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে, ছবির মানও তত ভালো হবে। বিষয়টি তা নয়। ডিজিটাল ক্যামেরার মান নির্ভর করে এর বৈশিষ্ট্য ও নানা প্রযুক্তিগত সুবিধার ওপর, পিক্সেল বা মেগাপিক্সেলের ওপর নয়। ৮ x ১০ ইঞ্চি আকারের একটি ছবি অনায়াসেই প্রিন্ট করতে পারেন মাত্র তিন মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করে।
অ্যান্টি-ভাইরাস শেষ কথা নয়
ব্যক্তিগত কাজেই হোক আর অফিস-আদালতের জন্যই হোক; ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারের জন্য অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার তো লাগবেই। পয়সাপাতি খরচ করে বাজার থেকে মনমতো একটা অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার এনে কম্পিউটারে ইনস্টলকরলেন। আপনি হয়তো ভাবছেন, বালাই ষাট! ভাইরাস ও হ্যাকারদের হাত থেকে রেহাই পেলাম। না, এত সহজে রেহাই আপনি পাচ্ছেন না। ক্ষতিকর কোনো ভাইরাস বা হ্যাকার যেকোনো মুহূর্তে অ্যান্টি-ভাইরাস ও নিরাপত্তাব্যবস্থাকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে আপনার কম্পিউটারে আক্রমণ চালাতে পারে। সে জন্য আপনাকে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই ধরুন, অচেনা কারোর ই-মেইল না খোলা, অপরিচিত কোনো ওয়েবসাইটে না ঢোকা।
মনিটর ক্যানসারের কারণ!
মোটেই না। মনিটর থেকে যে রশ্মি বের হয়, সেটা অত্যন্ত দুর্বল। এটা আপনার দেহের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, মনিটর থেকে গামা রশ্মি নির্গত হয়। কিন্তু সেটা এত অল্প যে, তা নিয়ে না ভাবলেও আপনার চলবে। আর মনিটরের নির্দোষ রশ্মি থেকে ক্যানসারের মতো জটিল রোগ হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।
হুট করে পেনড্রাইভ খোলা যায়!
কম্পিউটারের ইউএসবি সংযোগ থেকে পেনড্রাইভ খুলতে আপনি হয়তো গোটা কাজটা নিয়মমাফিক করেন। ডেস্কটপে থাকা পেনড্রাইভের আইকনে গিয়ে ‘সেইফলি রিমুভ হার্ডওয়্যার’-এ ক্লিক করে পেনড্রাইভটি বের করে আনেন। কারণ, পাছে আপনার মূল্যবান যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে যায়। এত সাবধানতার দরকার মোটেও পড়ে না। কাজ শেষে পেনড্রাইভটি খুলে নিলেই চলে। এতে যন্ত্রের ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। তবে পেনড্রাইভ থেকে কম্পিউটারে বা কম্পিউটার থেকে পেনড্রাইভে যখন তথ্যের আদান-প্রদান হবে, তখন কাজটি না করলেই হলো। শুধু পেনড্রাইভ নয়, কি-বোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, স্ক্যানারের বেলায়ও ওই একই কথা।
শাট ডাউন করতেই হবে!
সুইচ বন্ধ করার আগে সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার শাট ডাউন করা উচিত। নয়তো শখের কম্পিউটারটির বারোটা বেজে যেতে পারে। এটা পুরানো আমলের ধারণা। বর্তমান সময়ে বোতাম টিপে কম্পিউটার সরাসরি বন্ধ করে দিলে কোনো সমস্যা হয় না। শুধু বন্ধ করার আগে কাজটা সযত্নে সংরক্ষণ (সেইভ) করতে হবে। এতে আপনার কম্পিউটারের নানা যন্ত্রাংশের ওপর বাড়তি কোনো চাপ পড়বে না। বরং ঘণ্টায় ঘণ্টায় শাট ডাউন কম্পিউটারের সমূহ ক্ষতির কারণ।
সিডি, ডিভিডির আয়ু
একটা সিডি বা ডিভিডি কত দিন অক্ষত থাকে? জবাবে কেউ হয়তো বলবেন, বছরকয়েক হবে হয়তো। যদি বলি, ১০০ বছর। কী হোঁচট খেলেন? সিডি বা ডিভিডিকে ধুলোবালি ও সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখতে পারলে শত বছর পরও এটি আপনার কাজটি অক্ষত রাখবে।
ডিলিট করলেন তো হারিয়ে গেল!
ফাইল ডিলিট করে দিলে সেটা রিসাইকেল বিনে চলে যায়। রিসাইকেল বিনে গিয়ে আবার ডিলিট করে দিলে ফাইলটি চিরতরে কম্পিউটার থেকে হারিয়ে যায়—এমন ভাবনা মন থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করুন। চাইলেই একটি ফাইলকে চিরতরে গায়েব করে দিতে পারবেন না। কারণ, এখন এমন অনেক সফটওয়্যার আছে, যেগুলো রিসাইকেল বিন থেকে মুছে ফেলা ফাইলও পুনরুদ্ধার করতে পারে।
ভেবেচিন্তে ই-মেইলের জন্য জটিল একটা পাসওয়ার্ড দিলেন। আর সন্তুষ্টচিত্তে বসে রইলেন এই ভেবে যে, আপনার ই-মেইলে অনুপ্রবেশ করে (হ্যাক) এমন সাধ্য কার!
ভুল। কম্পিউটার থেকে যখন আপনি ই-মেইল পাঠাচ্ছেন, সেটি সার্ভারে পৌঁছার আগেই ইচ্ছা করলে একজন হ্যাকার পড়ে ফেলতে পারে।
কম্পিউটারের পাশে চুম্বক নেই তো!
কম্পিউটার বা কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের আশপাশে চুম্বক আনলেই আপনি হয়তো ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন। না-জানি কী হয়! ভাবনার কিছু নেই; ল্যাপটপ, হার্ডড্রাইভ চৌম্বকীয় আকর্ষণ থেকে মুক্ত। পেনড্রাইভ, সিডি, মেমরি কার্ডও চৌম্বকীয় আকর্ষণমুক্ত। তবে ফ্লপি ড্রাইভের ক্ষেত্রে কথাটা আংশিক হলেও সত্য। আশার কথা হচ্ছে, ফ্লপিডিস্কের জমানা তো এখন প্রায় অতীত।
বেশি মেগাপিক্সেলে ভালো ছবি!
অনেকের ধারণা, ডিজিটালক্যামেরার সিসিডি সেন্সরের মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে, ছবির মানও তত ভালো হবে। বিষয়টি তা নয়। ডিজিটাল ক্যামেরার মান নির্ভর করে এর বৈশিষ্ট্য ও নানা প্রযুক্তিগত সুবিধার ওপর, পিক্সেল বা মেগাপিক্সেলের ওপর নয়। ৮ x ১০ ইঞ্চি আকারের একটি ছবি অনায়াসেই প্রিন্ট করতে পারেন মাত্র তিন মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ব্যবহার করে।
অ্যান্টি-ভাইরাস শেষ কথা নয়
ব্যক্তিগত কাজেই হোক আর অফিস-আদালতের জন্যই হোক; ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারের জন্য অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার তো লাগবেই। পয়সাপাতি খরচ করে বাজার থেকে মনমতো একটা অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার এনে কম্পিউটারে ইনস্টলকরলেন। আপনি হয়তো ভাবছেন, বালাই ষাট! ভাইরাস ও হ্যাকারদের হাত থেকে রেহাই পেলাম। না, এত সহজে রেহাই আপনি পাচ্ছেন না। ক্ষতিকর কোনো ভাইরাস বা হ্যাকার যেকোনো মুহূর্তে অ্যান্টি-ভাইরাস ও নিরাপত্তাব্যবস্থাকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে আপনার কম্পিউটারে আক্রমণ চালাতে পারে। সে জন্য আপনাকে সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই ধরুন, অচেনা কারোর ই-মেইল না খোলা, অপরিচিত কোনো ওয়েবসাইটে না ঢোকা।
মনিটর ক্যানসারের কারণ!
মোটেই না। মনিটর থেকে যে রশ্মি বের হয়, সেটা অত্যন্ত দুর্বল। এটা আপনার দেহের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, মনিটর থেকে গামা রশ্মি নির্গত হয়। কিন্তু সেটা এত অল্প যে, তা নিয়ে না ভাবলেও আপনার চলবে। আর মনিটরের নির্দোষ রশ্মি থেকে ক্যানসারের মতো জটিল রোগ হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।
হুট করে পেনড্রাইভ খোলা যায়!
কম্পিউটারের ইউএসবি সংযোগ থেকে পেনড্রাইভ খুলতে আপনি হয়তো গোটা কাজটা নিয়মমাফিক করেন। ডেস্কটপে থাকা পেনড্রাইভের আইকনে গিয়ে ‘সেইফলি রিমুভ হার্ডওয়্যার’-এ ক্লিক করে পেনড্রাইভটি বের করে আনেন। কারণ, পাছে আপনার মূল্যবান যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে যায়। এত সাবধানতার দরকার মোটেও পড়ে না। কাজ শেষে পেনড্রাইভটি খুলে নিলেই চলে। এতে যন্ত্রের ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। তবে পেনড্রাইভ থেকে কম্পিউটারে বা কম্পিউটার থেকে পেনড্রাইভে যখন তথ্যের আদান-প্রদান হবে, তখন কাজটি না করলেই হলো। শুধু পেনড্রাইভ নয়, কি-বোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, স্ক্যানারের বেলায়ও ওই একই কথা।
শাট ডাউন করতেই হবে!
সুইচ বন্ধ করার আগে সফটওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার শাট ডাউন করা উচিত। নয়তো শখের কম্পিউটারটির বারোটা বেজে যেতে পারে। এটা পুরানো আমলের ধারণা। বর্তমান সময়ে বোতাম টিপে কম্পিউটার সরাসরি বন্ধ করে দিলে কোনো সমস্যা হয় না। শুধু বন্ধ করার আগে কাজটা সযত্নে সংরক্ষণ (সেইভ) করতে হবে। এতে আপনার কম্পিউটারের নানা যন্ত্রাংশের ওপর বাড়তি কোনো চাপ পড়বে না। বরং ঘণ্টায় ঘণ্টায় শাট ডাউন কম্পিউটারের সমূহ ক্ষতির কারণ।
সিডি, ডিভিডির আয়ু
একটা সিডি বা ডিভিডি কত দিন অক্ষত থাকে? জবাবে কেউ হয়তো বলবেন, বছরকয়েক হবে হয়তো। যদি বলি, ১০০ বছর। কী হোঁচট খেলেন? সিডি বা ডিভিডিকে ধুলোবালি ও সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখতে পারলে শত বছর পরও এটি আপনার কাজটি অক্ষত রাখবে।
ডিলিট করলেন তো হারিয়ে গেল!
ফাইল ডিলিট করে দিলে সেটা রিসাইকেল বিনে চলে যায়। রিসাইকেল বিনে গিয়ে আবার ডিলিট করে দিলে ফাইলটি চিরতরে কম্পিউটার থেকে হারিয়ে যায়—এমন ভাবনা মন থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করুন। চাইলেই একটি ফাইলকে চিরতরে গায়েব করে দিতে পারবেন না। কারণ, এখন এমন অনেক সফটওয়্যার আছে, যেগুলো রিসাইকেল বিন থেকে মুছে ফেলা ফাইলও পুনরুদ্ধার করতে পারে।
হইতে
মো. রানা হামিদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন